1. »
  2. জাতীয়

বেগম খালেদা জিয়াকে মধ্যরাতে অথবা ভোরে নেওয়া হবে লন্ডনে

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৩:১৮ পিএম | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৩:১৮ পিএম

বেগম খালেদা জিয়াকে মধ্যরাতে অথবা ভোরে নেওয়া হবে লন্ডনে

সবকিছু ঠিক থাকলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পরে অথবা আগামীকাল শুক্রবার ভোরে লন্ডনে নেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুসারে তাঁকে লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার আগে এভারকেয়ার হাসপাতালে সাংবাদিকদের বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসক জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।

খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন‍্য এয়ার অ‍্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করবে কাতার। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, কাতারের পক্ষ থেকে আজ সকালে বিএনপিকে এ তথ‍্য জানানো হয়েছে।

গত ১২ দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়ে বলে জানা গেছে। তাঁকে নিয়ে দেশের মানুষ উদ্বেগে রয়েছে।

এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।

বিএনপির একটি সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেটা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে হৃদ্‌যন্ত্রে জটিলতা রয়েছে। বাকি সমস্যাগুলো অনেকটাই অপরিবর্তিত।

গতকাল রাতে চীন থেকে দেশটির চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় আসেন। রাতেই তাঁরা খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডে যোগ দেন। এর আগে দুপুরে যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় আসেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বেলে। তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। খালেদা জিয়াকে দেখেন।

এই চিকিৎসকেরা গতকালই খালেদা জিয়ার সর্বশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনগুলো দেখেছেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে প্রথমে হাসপাতালে, পরে ছেলে তারেক রহমানের বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা নেন। প্রায় চার মাস পর গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।

গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়। গত রোববার ভোরের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।