1. »
  2. রাজনীতি

আটকের পর বিএনপি নেতা ড. মঈন খানকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৪:৩০ পিএম | আপডেট: মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৭:৫৫ পিএম

আটকের পর বিএনপি নেতা ড. মঈন খানকে ছেড়ে দিলো পুলিশ

‘ডামি সংসদ’ বাতিলের দাবিতে রাজধানীর উত্তরার আজ বিএনপির কালো পতাকার মিছিল পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে বিএনপি। পরে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের কবরস্থানের পাশের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশের ভ্যানে করে মঈন খানকে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িতে তোলার আগে মঈন খান পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কী অপরাধ করেছি।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঈন খানকে পুলিশের গাড়িতে তোলার আগে তাঁকে পেছন থেকে ঠেলে গাড়িতে তোলা হয়। 

মঈন খান ১২ নম্বর সেক্টরের এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন। গাড়িতে তোলার কয়েক মিনিট আগে তিনি সেখানে পৌঁছান। এ সময় কিছু নেতা-কর্মী রাস্তায় দাঁড়ান। তাঁরা দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ দৌড়ে আসে। পুলিশকে আসতে দেখে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক কর্মী দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় মঈন খান বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

মঈন খান বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল একটি কারণে। সেটা হলো, আমরা একটা দেশ চাই যেদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন থাকবে। কিন্তু আজ কিছুই নাই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাব। রাজপথে থাকব।

এ সময় পুলিশ মঈন খানকে গাড়িতে তুলে নেয়। তখন সমাবেশেও পণ্ড হয়ে যায়।

এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা পশ্চিমের এডিসি সালাহউদ্দিন বলেন, তারা (বিএনপি) সমাবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এটা ছিল অনুমোদনহীন। তারা দরখাস্ত করেছিল, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে এটা অনুমোদন করা হয়নি। যে কারণে আমরা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। আট থেকে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

মঈন খানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এডিসি সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আসলে ওনার নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দিয়েছিল। যে কারণে আমরা তাঁকে একটু সরিয়ে নিয়েছি আরকি।’  

কি ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি ছিল তা জানতে চাইলে এডিসি সালাহউদ্দিন বলেন, মঈন খানের ব্যক্তিগত ও শারীরিক ঝুঁকি ছিল।

মঈন খানকে তুলে নেওয়ার সময় তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছিল এমন অভিযোগের বিষয়ে  এডিসি সালাহউদ্দিনের বক্তব্য, ‘কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি। পুলিশ সদস্যরা পেশাদারির পরিচয় দিয়েছেন। ’

পরে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আবুল হাসান বলেছেন, মঈন খানকে কেউ আটক করেনি। তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।