তিন মামলায় বিএনপি নেতা স্বপনের জামিন নামঞ্জুর
মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৬:৩৪ পিএম | আপডেট: মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৬:৩৪ পিএম
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা তিন মামলায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারী) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবীর আদালতে এ তিন মামলায় জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। এছাড়া রমনা থানার আরো দুই মামলার নথি না থাকায় জামিন শুনানি করা যায়নি।
এর আগে আজ দুপুর বারোটায় পল্টন থানার এ তিন মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তাকে গ্রেফতার দেখান। এছাড়াও রমনা থানার দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখান ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন। সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জহির উদ্দিন স্বপনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম হিমেল।
এর আগে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ।
এদিকে নতুন এ পাঁচ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আগে আরও দুইটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মোট সাত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাকে। এর মধ্যে কোনো মামলাতেই এখন পর্যন্ত জামিন মেলেনি তার।
গত ২ নভেম্বর জহির উদ্দিন স্বপনকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়৷ এ মামলায় স্বপনকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওইদিন শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর ২৭ নভেম্বর পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় আদালতে স্বপনকে হাজির করা হয়৷ এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই তাকে গ্রেফতার দেখানোসহ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল ও আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তার জামিন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুস সালাম, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
আরও পড়ুন
- অটোরিকশাচালকদের ওপর সরকার স্টিম রোলার চালাচ্ছে : রিজভী
- আওয়ামী লীগ পরগাছায় পরিণত হয়েছে : জিএম কাদের
- তাহলে ব্যাংকে কি মাস্তান-মাফিয়ারা ঢুকবে : কাদেরকে রিজভী
- আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে : মির্জা ফখরুল
- নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার
- সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে : রিজভী
- ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার : নজরুল ইসলাম খান
- আ'লীগ সরকারের কারণে জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত : মির্জা ফখরুল