আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সবাই জানে, নির্বাচনে কারা জিতেছে। নির্বাচনে অংশ না নিয়েই বিএনপি জিতে গেল? এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কি?’

‘একপক্ষীয় নির্বাচন করে সরকারই হেরেছে; জিতেছে বিএনপি’ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেবে না বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বাধা দেওয়ার মতো সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয়, তাহলে বাধা আসবে। তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’

৫৪টি দল নিয়ে বিএনপি জোট করেছিল বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই ঐক্যজোটের শরিকেরা এখন কোথায়?’ তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘সেই জগাখিচুড়ির জোট কোথায়? কোনোটারই তো অস্তিত্ব নেই? এখন সরকারের ওপর দোষ দিয়ে পার পাওয়া যাবে?’

নির্বাচন করার জন্যই বিএনপি নেতাদের আটক রাখা হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তাঁদের কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। পুলিশকে হত্যা করা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা, সাংবাদিকদের মারধর করা, জাজেজ চেম্বারে হামলা করা, পুলিশের হাসপাতালে গিয়ে হামলা করা এসব অভিযোগে তাঁদের আটক করা হয় বলে জানান এই নেতা।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তারা বলেছিল পালিয়ে যাবে না, পালিয়ে গেল কেন? পালিয়ে গেল মানে তারা কোনো অপরাধ করেছে। তারপরও বিষয়টা বিচারাধীন বিষয়, আদালতের বিষয়, আদালত যখন জামিন দিয়েছে, তখন তারা মুক্তি পেয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান। এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার, তা দল হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংস্কৃতি-বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।