1. »
  2. সমগ্র দেশ
সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায়

বান্দরবানের ৩ উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ, দুর্ভোগে গ্রাহকরা

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:২১ পিএম | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৪৩ পিএম

বান্দরবানের ৩ উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ, দুর্ভোগে গ্রাহকরা

সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকিং কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে কৃষি ও সোনালী ব্যাংক। একই সাথে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে এ তিনটি উপজেলার ব্যাংকগুলোর ১৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের এবং ভল্টে থাকা নগদ টাকা জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।

এদিকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ঈদের এই সময়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা তিনটি উপজেলার ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবে। এছাড়া লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পরও খোঁজ মেলেনি রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের। তাকে উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। এছাড়া বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। জেলা সদর থেকে নেয়া হয়েছে এপিবিএন সদস্যদের। রুমা ও থানচি উপজেলায় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া বুধবার থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে পুনরায় হামলা চালিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে। এ ঘটনার পর সেখানে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গণি সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনটি উপজেলায় আগের মতো ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।