আ'লীগের নেতারা ভাঁওতাবাজির মাধ্যমে মানসিক আশ্রয় খুঁজছেন : রিজভী
সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:৩৩ পিএম | আপডেট: সোমবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:৩৩ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী নেতারা জনগণকে প্রতারিত করে ভাঁওতাবাজির মাধ্যমে মানসিক আশ্রয় খুঁজছেন। এরা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি লুটপাটসহ মানুষের সহায় সম্পদ আত্মসাৎ করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরাসরি জনগণকে প্রতারিত করেছে। নিখুঁত ধুর্ততায় জনগণের চোখে ধুলো দিয়ে বিরতিহীন ডাহা মিথ্যার আবর্তে জনগণকে প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে জনগণের পকেট কাটার কারণে এখন দেশে হাহাকার পড়েছে। অনাহার অর্ধাহারে ক্ষুধার্ত মানুষ এবারের ঈদে চরম দুর্দশার মাঝে দিন কাটিয়েছে। বাজারে আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতির কারণে ভাত তরকারী যোগাড় করা যেখানে কষ্টকর সেখানে ঈদের পোশাক কিনবে কিভাবে?
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত একজন গামেন্ট শ্রমিক নিজের শিশু সন্তানের জন্য ফুটপাথ থেকে ফ্রক কিনতে পারেনি। চট্টগ্রামের ঈদ বাজারে গত বছরের তুলনায় এবার ত্রিশ শতাংশ কেনাকাটা কমেছে। এই পরিস্থিতি সারাদেশে। ঢাকাতে ধনীদের কেনাকাটা বাড়লেও নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। কাপড় ব্যবসায়ীরা শাড়ী, লুঙ্গি, পাঞ্জাবী তাদের টার্গেটের অর্ধেকও বিক্রি করতে পারেনি। অনেক ব্যবসায়ী ঈদের প্রাক্কালে বাকীতে কাপড় নিয়ে বিক্রি করার পর তার টাকা পরিশোধ করে। এখন তাদের কপালে হাত। আর আওয়ামী আমলে বিত্তশালী শ্রেণী মানেই টেন্ডারবাজ, সিন্ডিকেটবাজ ব্যক্তিরা যারা ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্ট।
রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী নেতাদের অনেকেই বলেছেন, ‘দেশে বিত্তশালীদের সংখ্যা বেড়েছে, যারা মূলত: বেনজীর শ্রেণীর’। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই বিত্তশালী কারা? এই বিত্তশালী শ্রেণী হচ্ছে বেনজীর শ্রেণী যারা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম, খুন করে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। এছাড়া মেগা প্রজেক্ট ও অবাধে ব্যাংক লুটের কথা এখন কল্পকাহিনীতে পরিণত হয়েছে যা অতি বাস্তব। এটা বাস্তব সত্য যে, দুর্নীতির সাথে ক্ষমতার উপরের দিকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। অত্যাচারী শাসকের পদতলে পিষ্ট আজ বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, বিএনপি নেতা ও সাবেক কমিশনার আনোয়ার পারভেজ বাদল এবং বিএনপি নেতা সাঈদ হোসেন সোহেল জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তাদের মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরফুদ্দিন আহমেদ সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, রফিকুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন
- আওয়ামী লীগ পরগাছায় পরিণত হয়েছে : জিএম কাদের
- তাহলে ব্যাংকে কি মাস্তান-মাফিয়ারা ঢুকবে : কাদেরকে রিজভী
- আওয়ামী সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে : মির্জা ফখরুল
- নতজানু বলেই জনগণের স্বার্থে যে স্ট্যান্ড নেয়া দরকার সেটিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার
- সরকারের লোকদের লুটপাটের খবর একের পর এক বের হতে শুরু করেছে : রিজভী
- ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার : নজরুল ইসলাম খান
- আ'লীগ সরকারের কারণে জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত : মির্জা ফখরুল
- লু’র সফরকে কেন্দ্র করে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা অস্থিরতায় ভুগছেন : রিজভী