1. »
  2. রাজনীতি

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০১:১১ পিএম | আপডেট: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪ ০৪:৫৫ পিএম

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানাতে গিয়ে চট্টগ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। 

গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সরকারি হাজী মুহসীন কলেজে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে মুহসীন কলেজ ছাত্রলীগের ৯জন ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছে মুহসীন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামসহ ইমরানও রয়েছেন। 

মুহসীন কলেজে ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রঘোষিত ফিলিস্তিনের ইস্যুতে একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেই কর্মসূচির আলোকে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কলেজ থেকে পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়াই। তাৎক্ষণিক চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো।

অপরদিকে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঘোষিত ফিলিস্তিনের প্রোগ্রামে আমরা সিআরবিতে যাচ্ছিলাম। সিআরবিতে যাওয়ার পথে আমরা টেম্পো ভাড়া করছিলাম। আমরা দুইটা টেম্পো ভাড়া করেছি, সেই দুইটাতে আমাদের কর্মীরা বসা ছিল। পরে আরেকটা টেম্পো ভাড়া করলে আমাদের ছেলেরা ওইটাতে ওঠে বসে। এ সময় মুহসীন কলেজের মাঠের পাশ দিয়ে তারাও টেম্পো ভাড়া করতে আসে। আমরা তাদের বলেছি- এ টেম্পো আমরা ভাড়া করেছি, তোমরা অন্য একটি ভাড়া করো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে এই টেম্পো তারা নিয়ে যাবে। এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। এ ঘটনায় আমরা মামলা করবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক সারোয়ার বলেন, ঠুনকো বিষয় নিয়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।