1. »
  2. অর্থ বাণিজ্য

মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত

বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ ১০:১৯ এএম | আপডেট: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ ১০:১৯ এএম

মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত

গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের মালিকের সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধসহ পাঁচ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্য থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে যান।
 
বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে-
টিএনজেড গ্রুপের ওয়াশিং প্ল্যান্ট ও মহাখালীস্থ ডিওএইচএস- এ মালিকের বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।

শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে ঐকমত্য হওয়ায় শ্রম ভবনের ঘেরাও কর্মসূচী শ্রমিক নেতারা প্রত্যাহার করবেন।

টিএনজেড গ্রুপের মালিক বিদেশে থাকায় এরইমধ্যে তাকে দেশে আনার জন্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

টিএনজেড এর পরিচালক বা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বিদেশ গমনে নিষধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

টিএনজেড এর ডাইরেক্টর ফিনান্স শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত সরকারের হেফাজতে থাকবে।

এদিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আগামী সাত কর্মদিবস অর্থাৎ ২৯ মে পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রমিকেরা। এই সময়ের মধ্যে বেতন বকেয়া পরিশোধ না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৩টা থেকে টিএনজেড গ্রুপের আটটি গার্মেন্টস ও আশুলিয়া অবস্থিত চেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড গার্মেন্টসের কর্মীরা বকেয়া বেতন ও অন্যান্য পাওনাদির দাবিতে কাকরাইল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
 
তার আগে শ্রম ভবন থেকে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসেন তারা। এ সময় কাকরাইল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন গার্মেন্টস শ্রমিকদের।

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘ তিন থেকে ছয় মাসের বেতন বন্ধ রেখেছে গার্মেন্টস মালিকরা। গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের ৮টি ও আশুলিয়ার চেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড দীর্ঘ সময় ধরে বেতন বন্ধ রেখেছে। এতে শ্রমিকদের মানবতার জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

তারা বলেন, বেশিরভাগ শ্রমিকরা টানা তিন মাসের বাসা ভাড়া দিতে পারেননি। এছাড়াও বিভিন্ন দোকানের বাকি অর্থ দিতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে মার্চ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
 
শ্রমিকরা আরও বলেন, তাদের ন্যায্য বেতন ভাতা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান করবেন। শ্রমিকদের এই ভোগান্তি দূর করতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। গত দুই সপ্তাহ ধরে শ্রম ভবনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও সরকার থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।