আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান
রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫ ০৬:৪০ পিএম | আপডেট: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫ ০৬:৪০ পিএম

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ রোববার (২৫ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের সঙ্গে দেখা করে আবারও রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচনের তারিখ, সুস্পষ্ট দিনখন ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। বিএনপির দাবি আগামী ডিসেম্বরের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপিসহ যারা একসঙ্গে রাজপথে আন্দোলন করেছি, আমরা আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন অব্যাহত রেখেছি।
তিনি বলেন, দেশে বিদেশে সম্মানিত দক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিত্ব অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের নেতৃত্বে অবিলম্বে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, নিরপেক্ষ একটি জাতীয় নির্বাচন দেখতে পাবে। আজকে এনপিপির এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
বাজেট প্রণয়নের আগে এনবিআর সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে এনবিআরের হয়তো সরাসরি কোন ভূমিকা নেই তবে রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এনবিআরের ভূমিকা মুখ্য। এমন বাস্তবতায় বাজেট পাশের ঠিক আগ মুহূর্তে অন্তর্বর্তী সরকার হঠাৎ করে এনবিআরের সংস্কার চাপিয়ে দিয়ে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে যে একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে এটি কিন্তু আমাদের অর্থনীতির জন্য খুব ভালো বিষয় নয়। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার সবচেয়ে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে সকলেই বিশ্বাস করে বিশেষ করে গণতন্ত্রকামী জনগণ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরো বলেন,'বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের যোগ্যতা অযোগ্যতার বিষয় নয়, দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় একদিকে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা নেমে এসেছে অপরদিকে এক অনিশ্চিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে একরকম অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এ কারণেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ প্রতিদিন বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসছে।দুর্ভাগ্যবশত তাদের এই দাবি দেওয়া সোনার কেউ নেই এই মুহূর্তে।'
অন্তর্বর্তী সরকারের নৈতিক এবং রাজনৈতিক বৈধতার হয়তো সংকট নেই তবে অবশ্যই এই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি মূলক নয়। সরকার যেহেতু জবাবদিহিমূলক নয় সেহেতু নৈতিক কারণেই সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জনগণের সামনে স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন। জনগণকে অন্ধকারে রেখে রাজনৈতিক দলকে বা দলগুলোকে অনিশ্চয়তায় রেখে শেষ পর্যন্ত কোন পরিকল্পনাই কার্যকর এবং টেকসই হয়না এবং হবেও না।'
'তবে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট তাবেদার অপশক্তির পুনর্বাসনের পথ রোধ করা সম্ভব। আমরা নিজ নিজ দলীয় আদর্শ এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতিগত বিরোধ দৃশ্যমান হলেও আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ এবং জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ফ্যাসিবাদ উত্থান মোকাবেলায় একতরফা ইস্যুতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ বিগত পাঁচই আগস্টের মতই ঐক্যবদ্ধ।' বলেন তারেক রহমান।
আরও পড়ুন
- আ'লীগের গোপন বৈঠকে থাকা সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন
- ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান বাংলাদেশের
- নির্বাচন কমিশনের ৭১ কর্মকর্তাকে বদলি
- স্বাস্থ্যখাতের টেকসই সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা
- ‘ওদের গুলি করো’, আল জাজিরার ইনভেস্টিগেশনে হাসিনার সব ফোনালাপ ফাঁস
- শিক্ষিকা মেহরীন চৌধুরীর সমাধিতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা নিবেদন
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
- ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর ঐক্য আরও বেশি দৃশ্যমান করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা