1. »
  2. জাতীয়

যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫ ০৯:০৭ পিএম | আপডেট: বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫ ০৯:০৭ পিএম

যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন : প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন নিয়ে আবারও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নেয়া সংস্কার উদ্যোগ এগিয়ে নিতে যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

বুধবার জাপানের রাজধানী টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগ (জেবিএফএল) এর প্রেসিডেন্ট তারো আসো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। সরকারপ্রধান চারদিনের সরকারি সফরে বর্তমানে জাপানে আছেন। নিক্কেই ফোরাম ফর এশিয়ায় সম্মেলনে অংশ নেয়া ও দেশটির নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হতে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে জাপানে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। 

বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু জাপানের সাবেক এ পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়ায় প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি মসৃণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য জাতীয় নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। সেগুলো হলো- সংস্কার, হত্যাকারীদের বিচার এবং নির্বাচন আয়োজন। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং ঋণ পরিশোধে সরকার উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। 

প্রফেসর ইউনূস বলেন, পূর্ববর্তী সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, যার ফলে তরুণ সমাজের মধ্যে বিদ্রোহ সৃষ্টি হয়েছে। সেই তরুণরাই আমাকে এই বিশৃঙ্খলা দূর করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি বলেন, গত দশ মাসে জাপান আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এক অর্থে, এটি একটি কৃতজ্ঞতা সফর।

তারো আসোকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যাতে তিনি নিজের চোখে পরিবর্তনগুলো দেখতে পারেন। সাক্ষাতের সময় তারো আসোর সঙ্গে থাকা কয়েকজন জাপানি সংসদ সদস্য বলেন, ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। বাংলাদেশ আগামী আগস্টের মধ্যে আলোচনার কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে ইপিএ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রত্যাশা করছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে, জাপান হবে বাংলাদেশে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিস্থিতি সম্পর্কে জাপানি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এজেন্ডা বাস্তবায়নে তাদের সহায়তা কামনা করেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট অন্যান্য শরণার্থী সংকটের থেকে ভিন্ন, কারণ তারা অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য অনুনয় করছেন না, বরং নিজ দেশে ফেরার দাবি করছেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।