1. »
  2. রাজনীতি

সীমান্তে গুলি করে হত্যার পরও সরকার এখনো নিশ্চুপ : মির্জা ফখরুল

বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪ ০১:১৯ পিএম | আপডেট: বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪ ০৫:১২ পিএম

সীমান্তে গুলি করে হত্যার পরও সরকার এখনো নিশ্চুপ : মির্জা ফখরুল

সীমান্তে বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা এবং আরো একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও সরকার ও মন্ত্রীরা এখনো নিশ্চুপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল আমিন (৩৮) নামে এক বাংলাদেশীকে নিহত এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশী যুবক নিয়ে যাওয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সীমান্তে এক বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা এবং আরো একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনো নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেয়া দূরে থাক, টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি। বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এ সমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর একজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব এখন ভয়বহ সঙ্কটে। মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণ বিনাশী রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয় বিদারক ও আত্ম মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করে।’

তিনি বলেন, ‘ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশী নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না তাবেদার সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দল-মত নির্বিশেষে সকলকে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।’