1. »
  2. খেলার মাঠ

পেলে-ম্যারাডোনা নয় সর্বকালের সেরা মেসি

শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:০০ পিএম | আপডেট: শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:৪৫ পিএম

পেলে-ম্যারাডোনা নয় সর্বকালের সেরা মেসি

একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ফুটবলীয় বিতর্ক হচ্ছে কে সেরা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নাকি লিওনেল মেসি। যেমনটা বিংশ শতাব্দীতে ছিল পেলে-ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ঘিরে।

সমর্থকদের এই তর্ক-বিতর্কের কথা মাথায় রেখে সর্বকালের সেরা ৫০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল। শীর্ষ দশে পর্তুগিজ তারকা জায়গা পেলেও তালিয়া স্থান হয়নি ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার জুনিয়রের।

১০. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)

পর্তুগিজ কিংবদন্তিকে সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করেন অনেকে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তিনি আছেন ১০ নম্বরে। তিনি পাঁচবার জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। এ ছাড়া ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বোচ্চ ১২৮ গোলের রেকর্ড তার। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার গোলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ১৪১টি।

৯. জিকো (ব্রাজিল) বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও তালিকার নবম স্থানে আছে ব্রাজিলের কিংবদন্তি জিকো। ডেড-বল দক্ষতার জন্য বেশি পরিচিত ছিলেন তিনি।

৮. গারিঞ্চা (ব্রাজিল) তালিকার অষ্টম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন আরেক ব্রাজিলিয়ান গারিঞ্চা। সেলেসাওদের ১৯৫৮ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন এ কিংবদন্তি। ১৯৬২ বিশ্বকাপেও জিতেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।

৭. রোনালদো (ব্রাজিল) ২০০২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল। সে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। সে সময়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন এই স্ট্রাইকার। দুটি ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার ক্যারিয়ারের শেষ হয় অপ্রত্যাশিতভাবে।

৬. আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (আর্জেন্টিনা) ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। পাঁচটি ইউরোপিয়ান কাপ জেতেন এই আর্জেন্টাইন।

৫. জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স) পুরো মাঠ চষে বেড়ানোর দক্ষতা, অন্যদের চেয়ে আলাদা করে জিদানকে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে শিরোপা জেতানোয় বড় ভূমিকা ছিল তার। এ ছাড়া ২০০৬ বিশ্বকাপে তার একক নৈপুণ্যে ফাইনালে খেলে ফরাসিরা।

৪. ইয়োহান ক্রুইফ (নেদারল্যান্ডস) তাকে বলা হয টোটাল ফুটবলের জনক। ডাচ ক্লাব আয়াক্সের হয়ে ইউরোপিয়ান কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতেন তিনি। তার আইকনিক দক্ষতায় ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে নেদারল্যান্ডস।

৩. ডিয়েগো ম্যারাডোনা (আর্জেন্টিনা) ফুটবল মাঠে পা রাখার অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে উঠেন সেরা তারকা। তার একক প্রচেষ্টায় ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর ১৯৯০ সালে টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলে আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ‘হ্যান্ড অব গড’ এবং ‘গোল অব সেঞ্চুরি’ ব্যাপক আলোচিত হয়।

২. পেলে (ব্রাজিল) বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি তিনি। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের কীর্তি রয়েছে তার। সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড তার। ব্রাজিলের সবচেয়ে কমবয়সী গোলদাতার রেকর্ডও তার দখলে। এ ছাড়া ব্রাজিলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এই ব্রাজিলিয়ান।

১. লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা) বর্তমানে সর্বকালের সেরা ফুটবলার তিনি। ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৮ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। তিনবার জিতেছেন ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। অলিম্পিকে গোল্ড, যুব বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকার পর সবশেষ কাতারে জেতেন বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি। দুবার (২০১৪, ২০২২) জিতেছেন বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের খেতাব।