জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে তারেক রহমানের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা
সংবাদদাতা: মো: মুস্তাকিম বিল্লাহ বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ ০২:০১ পিএম | আপডেট: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০৩:৫৭ পিএম
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে জাতীয় কবির রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
তারেক রহমান লেখেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর প্রতি জানাই অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
তিনি লেখেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে দ্রোহ, মানবতা, প্রেম ও সাম্যবাদের চেতনায় দীপ্ত আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ থেকে ৪৯ বছর আগে তাঁর জীবনাবসান হয়। তিনি বিংশ শতাব্দীর বাংলা ভাষার প্রধান কবি ও সংগীতজ্ঞ। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি কবি। শৈশব থেকে কঠিন জীবনসংগ্রাম করে বড় হয়েছেন। যে কারণে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছিল তাঁর সহজাত। তিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমকে বিদ্রোহ করার প্রেরণা যুগিয়েছেন। তাঁর রচিত কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। তাঁর কবিতা, গান আজও মানুষকে শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তির সন্ধান দেয়। তাঁর আপসহীন সংগ্রাম তাঁকে বিদ্রোহী কবির খ্যাতি এনে দিয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লেখেন, ‘মানবপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানুষকে ভালোবেসে তাদের কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে তাঁর রচনা আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে। তাঁর সাহিত্যকর্ম আমাদেরকে চিরকাল স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আল্লাহ হাফেজ। বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’
উল্লেখ্য, ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্রে নিভে গিয়েছিল বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের এই অনন্য প্রতিভার জীবনপ্রদীপ। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। শৈশব থেকেই কঠিন দারিদ্র্য মোকাবিলা করে বড় হয়েছেন তিনি।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীল ছিলেন মাত্র ২৩ বছর। নজরুলের এই ২৩ বছরের সাহিত্যজীবনের সৃষ্টিকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। কবি নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ–বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে। অপর দিকে তিনি ছিলেন চির প্রেমের কবি। তিনি নিজেই বলেছেন ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ–তূর্য’।
আরও পড়ুন
- ডিসেম্বরের প্রথম ভাগে তফসিল, ফেব্রুয়ারীতেই নির্বাচন : ইসি
- স্বৈরাচার হাসিনাসহ ২৬১ আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- রাজধানীতে আ'লীগের ঝটিকা মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ২৯
- নির্বাচন বানচাল করতে একটি মহল কাজ করছে : মির্জা ফখরুল
- শাপলা নয় ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো ‘শাপলা কলি’
- এমপিও শিক্ষকদের সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৫৬, সর্বনিম্ন ৩০ হাজার করার প্রস্তাব
- নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই: ইসি সচিব