যাত্রীদের ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে এসেছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের আকাশ-বাতাস। শুরু হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম। এরই মধ্যে ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঘন কুয়াশার কারণে এই নৌরুটে বাল্কহেডের ধাক্কায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবির ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে পদ্মায় ফেরিটি ডুবে যায়। তবে এ ঘটনায় এখনও হতাহতের খবর আসেনি।

সকালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক জয়নাল আবেদিন এ তথ্য জানিয়েছেন যে, প্রাথমিক তথ্য মতে, বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে যায়। এতে কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন ছিল না। তবে নয়টি পণ্যবাহী পরিবহন ফেরির সঙ্গে পানিতে ডুবে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ফেরিটি উদ্ধারে দুইটি উদ্ধারকারী জাহাজকে একসঙ্গে ডাকা হয়েছে।

হামজা দৌলতদিয়া হতে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে। একই সঙ্গে মাওয়া ঘাট হতে রুস্তমও যাত্রা শুরু করেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো: খালেদ নেওয়াজ ফেরিডুবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৫ নম্বর ঘাট এলাকার কাছাকাছি রজনীগন্ধা নামে একটি ফেরি ডুবে গেছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় যাত্রীদের আর্তচিৎকার শোনা যেতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী দলকে জানানো হয়।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজীরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ বুধবার সকালেও এসব রুটে ফেরি চলাচল শুরু করেনি। এ অবস্থায় পাটুরিরা ৫ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি থাকা ফেরি রজনীগন্ধা পদ্মায় ডুবে যায়।