1. »
  2. খেলার মাঠ

ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল বরিশাল, চট্টগ্রামের বিদায়

সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৫:৪৬ পিএম | আপডেট: সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৫:৪৬ পিএম

ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল বরিশাল, চট্টগ্রামের বিদায়

ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল ফরচুন বরিশাল। এলিমিনেটর থেকে চট্টগ্রামকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে তামিম ইকবালের দল। বিপরীতে আরো একবার প্লে অফ থেকে হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরছে বন্দরনগরীর দলটা।

চট্টগ্রামের হার অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় প্রথম ইনিংসের পরই।

আজ সোমবার মিরপুরে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে মাত্র ১৩৫ রানে আটকে যাবার পর বরিশালের জয় সহজলভ্যই ছিল। যা আরো সহজ করে দেন মায়ার্স-তামিম জুটি। ১৪.৫ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে বরিশাল। জয় পায় ৭ উইকেটে।

সৌম্য সরকারকে বরিশালের টপ অর্ডারে না দেখে বেশ সমালোচনা হচ্ছিল ক্রিকেট পাড়াতে। ফলে এদিন সৌম্যকে ওপেন করতে পাঠায় বরিশাল, তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি৷ শুভাগত হোমের বলে ফেরেন ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মাত্র ২ রানে।

সৌম্য ফিরলেও পথ হারায়নি বরিশাল। কাইল মায়ার্স আর তামিম ইকবাল মিলে পাঁচ ওভারেই এনে দেন ৬৬ রান। ৯.২ ওভারে গিয়ে যখন ভাঙে এই জুটি, ততক্ষণে দলের রান ছুঁয়েছে তিন অঙ্কের ঘর। বিধ্বংসী ফিফটি তুলে ফেরেন মায়ার্স। আউট হবার আগে করেন ২৬ বলে ৫০।

মায়ার্স আউট হতেই নেমে আসেন ডেভিড মিলার। তবে জয় নিশ্চিত করে ফেরা হয়নি তার। জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থাকতে শেফার্ডের শিকার হন তিনি। ফেরেন ১৩ বলে ১৭ করে। তবে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন তামিম। তার আগে ৪১ বলে তুলে নেন আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটি।

শেষ পর্যন্ত তামিম অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ৫২* রানে। সেই সাথে আসরের সর্বোচ্চ রান নিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৩ ইনিংসে ৪৪৩ রান তার।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তানজিদ তামিমকে এদিন দাঁড়াতেই দেয়নি বরিশাল। দ্বিতীয় রাকে ওভারেই ফেরান সাইফুদ্দিন। মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ৩ বলে ২ করতেই৷ তিনে নেমে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ইমরানুজ্জামান।

লম্বা বিরতি শেষে একাদশে ফিরেও ব্যর্থ তিনি, আউট হন ৭ রানে। তবে রান বাড়ানোর কাজটা করেন জশ ব্রাউন। তবে ভয়ংকর হয়ে উঠার আগেই তাকে ফেরান ম্যাকয়। ৭ ওভার শেষে ২২ বলে ৩৫ রানে ফেরেন তিনি। চট্টগ্রামের রান তখন ৩ উইকেটে ৫১।

টম ব্রুস ইনিংস বড় করতে পারেননি, ১১ বলে ১৭ করে মায়ার্সের শিকার তিনি। দ্রুত ফেরে সৈকত আলিও, আউট হন ১৪ বলে ১১ করে। দলের বিপদে বড় ইনিংস উপহার দেয়া হয়নি শুভাগত হোমের, চট্টগ্রাম অধিনায়ক মায়ার্সের শিকার হন ১৪ বলে ২৬ রানে৷

ঝড়ো ফিনিশিং দিতে পারেননি রোমারিও শেফার্ড। হাত খোলার আগে জেমস ফুলার স্ট্যাম্প ভেঙে দেন তার। ১১ রান আসে তার ব্যাটে। শেষ দিকে নিহাদুজ্জামানের ১০ ও সালাউদ্দিন শাকিলের ৮ রানে ৯ উইকেটে ১৩৫ পর্যন্ত পৌঁছায় চট্টগ্রাম। জোড়া উইকেট নেন মায়ার্স, ম্যাকয় আর সাইফুদ্দিন।