1. »
  2. মতামত

ভিসা নিষেধাজ্ঞায় কোনো পরিবর্তন হয়নি : যুক্তরাষ্ট্র

মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০১:৩৮ পিএম | আপডেট: মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০১:৪০ পিএম

ভিসা নিষেধাজ্ঞায় কোনো পরিবর্তন হয়নি : যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বেশ জোরালোভাবে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে আলোচনা হয়। আর সেই নিষেধাজ্ঞায় এখনো বহাল আছে বলে জানিয়েছে দেশটি। এমনকি এতে কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন পরবর্তী ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানান স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

এদিন বাংলাদেশে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে তবে তাতে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি এমন অভিযোগ করে সাংবাদিক জানতে চান, যারা নির্বাচনকে ক্ষুণ্ণ করেছে তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি-সি ভিসানীতির অধীনে ভিসা বিধিনিষেধের অবস্থা কী?

জবাবে বেদান্ত বলেন, ভিসানীতি এবং তা পরিবর্তনের বিষয়ে নতুন কোনো খবর আমার কাছে নেই। এই ভিসানীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ভিসানীতির বিষয়টি এমন নয় যে- নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে আর তাই সূর্য ডুবে গেছে।

এরপরও সাংবাদিক সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চান, ভিসা নিষেধাজ্ঞা কি এখনো চলমান কিনা? জবাবে বেদান্ত বলেন, হ্যাঁ। ভিসানীতি প্রয়োগে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এছাড়া এদিনের ব্রিফিংয়ে ওই সাংবাদিক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চান।

তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী। আদালতের আরেকটি আদেশের মাধ্যমে তার বিদেশ ভ্রমণের ক্ষমতা সীমিত করেছে সরকার। ১২৫ জন নোবেল বিজয়ীসহ ২৪৩ বিশ্ব নেতাদের একটি জোট, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারিক হয়রানির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; সিনেটর ডিক ডারবিনের নেতৃত্বে ১২ জন সর্বদলীয় মার্কিন সিনেটর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সমস্ত হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট কিভাবে দেখছে?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এই প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বলেন, দেখুন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ভীতি প্রদর্শনের লক্ষ্যে শ্রম আইনের অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতো আমাদেরও উদ্বেগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ড. ইউনূসের জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করব। আর এই আবেদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।