1. »
  2. অপরাধ

মাদক সিন্ডিকেটের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত সাভার

মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ ০৩:৪৫ পিএম | আপডেট: মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪ ০৩:৪৫ পিএম

মাদক সিন্ডিকেটের ভয়াল থাবায় আক্রান্ত সাভার

ঢাকার সাভারে পৌর এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে পৌরসভা লাগোয়া সাভার ইউনিয়ন এর ৩নং ওয়ার্ড চাপাইন থেকে। সাভার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজারুল ইসলাম রুবেল এর অনুসারী ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাভার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ধর্ষণ মামলায় মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেফতার সোহেল রানা মূলত মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

সুত্র জানায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নানের ছত্রছায়ায় তার শ্যালক ইন্ডিয়ান শাহীন পাইকারি ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। ইন্ডিয়ান শাহীনের সরবরাহকৃত মাদক রতন, রতনের ভাই রিপন, শালা মনির, ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল ও আতাউর আতার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেবনকারীদের হাতে হাতে। 

এছাড়াও ইন্ডিয়ান শাহীনের মাদক কাজল, কাজলের স্ত্রী  লুনা এবং স্থানীয় রহম আলী যিনি নিয়মিত জুয়ার আসর বসিয়ে মাদক কেনাবেচা ও সেবনকারীদের আড্ডা পরিচালনা করে থাকেন বলেও জানা যায়। পার্শ্ববর্তী লালটেক এলাকায় বাদশাহ, আইনাল ও শরীফ আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান সিণ্ডিকেটের হয়ে ইন্ডিয়ান শাহীনের মাদক বিক্রি করে থাকে। মান্নানের ছায়া সঙ্গী আবুল মূলত গাজার পাইকারি ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে।

ডগরমোড়া এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা ও পুলিশের সোর্স ইদ্রিস এর ছত্রছায়ায় হেরোইন ব্যবসা পরিচালনা করে আনোয়ারের বৌ এবং সোর্স কাউসার, সোর্স বিল্টু, শিকদার, শাহাবুদ্দিন, নাসিমা গাজা ব্যবসা করে থাকে। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতার পৃষ্টপোষকতায় ইন্ডিয়ান শাহীনের মাদক বিক্রি করে খাটা রানা, টুন্ডা আরিফ, ড্রাইভার আজাদ, বিল্লাল ইয়াবার ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

আরো জানা যায় শাহীবাগ নিউমার্কেটের পিছনে ছাত্রলীগ নেতা সেকেন্দার ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। পাঠান পাড়া এবং সি আর পি এলাকায় কাউসার, যুবলীগ নেতা জনির আপন ছোট ভাই বাবু ইয়াবা ব্যবসা এবং জুয়েল হেরোইন ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। শাহীবাগ এলাকায় স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ী আলম খান, আইচানোন্দা হাসু এবং রাসেল ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। 

রাজাশন এলাকায় যুবলীগ নেতা মহর মুন্সী মাদক সিন্ডিকেটের মুল হোতা এছাড়াও স্থানীয় কমিশনারের ভাই জাহিদের শালা নাহিদ ব্যবসা পরিচালনা করে। দেওগাঁ এলাকায় সিন্ডিকেট পরিচালনা হয়ে থাকে ইন্ডিয়ান শাহীনের ছত্রছায়ায় যেটা স্থানীয় নাজিম, নাজিমের সেলসম্যান তুহিন ও টুন্ডা মনির এর মাধ্যমে পৌঁছে যায় সেবনকারীদের হাতে।

অন্ধ মার্কেট এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেল মন্ডল ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। উলাইল এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রহিম আজাদ পাইকারি মাদক সরবরাহ করে থাকে। মজিদপুর এলাকায় রোমান, শিল্পী(ছোট), মুক্তির বৌ, কহিনুর কহি, শহীদ, জজ, উষা,সানি ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। এরা নিজেদেরকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মাজাহার ইসলাম রুবেলের সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। পুরাতন রাজার বাড়ি এলাকায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের অফিস থেকে এখানে ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

সবুজবাগ ও ছায়াবীথি এলাকায় রহিম, জাকির, মামুন শ্রমিক লীগের রাজনীতির পাশাপাশি মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। কামাল গার্মেন্টস ও আশেপাশের এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকের অনুসারী মাইকেল ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। জাহাঙ্গীরনগর সোসাইটি এলাকায় আতিক এর অনুসারী রুবেল ইন্টারনেট ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে। 

ব্যাংক কলোনিতে ফরহাদ,পাভেল, পাপ্পু,আজগর আলী, কোমল, পদ্মা প্রিন্টার্স এলাকায় জাহিদ, মাইকেল জনি, হাসান (সোর্স), কাজারি রিপন, নান্নু, দোকানদার রিপন।

কাতলাপুর এলাকায় হাদী, কালু ও সুমন, আড়াপাড়া রাসেল (ছাত্রলীগ), রাশেদ, জুলহাস, বিলাই ফারুক, ডাকাত মুজিবর এবং মাইকেল। কাটপট্টি এলাকায় জাহাঙ্গীর, মুছা ফকির, নয়ন, পরান, সবুজ, রানা মিয়া, শাহীন। 

বক্তারপুর মান্তা খোকন, আফসার, হাত কাটা হারুন, বেদেপল্লী এলাকায় দাদা আলমগীর, পারভীন, রুবেল, আমজাদ (সোর্স), মিজান ড্রাইভার, ফারুক, খাটা হাসু, সান্দার সোহেল স্থানীয় কমিশনার বেদে রমজান ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আতিকের ছত্রছায়ায় ব্যবসা পরিচালিত হয়। বৌ বাজার এলাকায় আতিকের অনুসারী আব্দুল কাদের, নয়াবাড়ি এলাকায় নাসির(ডিবি সোর্স), বাবু ও কালাম। জামসিং এলাকায় যুবলীগ নেতা সাবেক কমিশনার মিনার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আতিকের অনুসারী অন্তরের নেতৃত্বে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে থাকে। 

এছাড়াও জামসিং এলাকায় আতিকের অনুসারীরা ব্যবসা পরিচালনা করে। জয়পাড়ায় সুমন, নিশাত, সানোয়ার সানু,বাটপারা এলাকায় দেলু, শুকুর আলী, সেলসম্যান রাজু প্রমুখ। 

মাদক সিন্ডিকেটের এ সকল ব্যক্তির প্রায় সকলেই ক্ষমতাসীন দলের সদস্য অথবা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীর নাম ব্যাবহার করে প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে ব্যাবসা পরিচালিত করে আসছে। এদের ভয়ে কেউ থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করার সাহস করে না বলে জানা যায়।