1. »
  2. অপরাধ

মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে : সিআইডি

বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:৩০ পিএম | আপডেট: বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:০৯ পিএম

মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে : সিআইডি

মাদক মামলায় টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মালিবাগে সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূলহোতা তথা গডফাদার মাদক কারবারিদের হাতে অবৈধভাবে অর্জিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ, ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ লন্ডারকৃত বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা।

সিআইডি এরই মধ্যে উল্লিখিত মামলাগুলোর মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি (যার মূল্য অনুমান ৮.১১ কোটি টাকা) ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে গচ্ছিত এক কোটি এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫.১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি (যার মূল্য অনুমান ৩৬.৮২ কোটি টাকা) ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান।

সিআইডি প্রধান আরও বলেন, কক্সবাজারের সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মাদকের গদফাদার হিসেবে বার বার অভিযোগ উঠে এসেছে। তিনিসহ তার পরিবার, ভাই-স্বজনদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য মিলেছে।

৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বদি বা বদির ভাইদের মাদকে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে সিআইডি প্রধান বলেন, মাদক মামলার মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি।

বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাবো ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডিপ্রধান বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক কারবারি যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছে, তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে।