২০ বছর কোমায় থাকার পর 'ঘুমন্ত যুবরাজে'র মৃত্যু
রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:৫৭ পিএম | আপডেট: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫ ১২:৫৭ পিএম

সৌদি আরবের ‘স্লিপিং প্রিন্স’ বা ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’ হিসেবে পরিচিত প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল আল সৌদ মৃত্যুবরণ করেছেন। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে জন্ম নেওয়া এই যুবরাজ ছিলেন সৌদি রাজপরিবারের সদস্য এবং ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালালের ভাগ্নে যুবরাজ খালেদ বিন তালাল আল সৌদের বড় ছেলে ছিলেন তিনি।
২০০৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে লন্ডনে সামরিক ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন যুবরাজ আল ওয়ালিদ। দুর্ঘটনায় তার মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাত লাগে এবং ঘটে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ। এরপর থেকেই তিনি কোমায় চলে যান।
দীর্ঘ সময় ধরে আমেরিকান ও স্প্যানিশ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে বিশেষায়িত চিকিৎসা দেওয়া হলেও আর জ্ঞান ফেরেনি তার। কোমার মধ্যেই কেটে যায় টানা দুই দশকেরও বেশি সময়।
এ সময়ে মাঝে মাঝে তার অনিচ্ছাকৃত কিছু নড়াচড়া কিংবা সাড়া দেওয়ার মতো আচরণ পরিবারের মধ্যে ক্ষীণ আশার সঞ্চার করলেও তার অবস্থা আর উন্নতি হয়নি। তার পরিবার একাধিকবার কিছু ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে দেখা যায়— তিনি কুরআন তেলাওয়াত শোনার পর খানিকটা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।
সন্তানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও বিশ্বাসে যুবরাজ খালেদ কখনোই ছেলের লাইফ সাপোর্ট তুলে নেওয়ার পরামর্শ মেনে নেননি। বরং সবসময় আশায় থেকেছেন—ঐশ্বরিক কোনো ব্যবস্থায় হয়তো ছেলেটি সুস্থ হয়ে উঠবে।
সৌদি আরবের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। দীর্ঘ সময় কোমায় থাকার কারণে আল ওয়ালিদ ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’ নামেই পরিচিতি পেয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে রাজপরিবারসহ পুরো দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর গালফ নিউজের।
আরও পড়ুন
- দেশত্যাগ করতে চাওয়া বিদেশিদের ভিসানীতি শিথিল করলো নেপাল
- একদিনে গাজায় অনাহারে প্রাণ গেল শিশুসহ আরও ৭ জনের
- একদিনে গাজায় আরও ৭২ ফিলস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল
- বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী
- কারফিউ উপেক্ষা করে আজও রাস্তায় নেপালের বিক্ষোভকারী তরুণরা
- নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ১৪
- নাইজেরিয়ায় জঙ্গি হামলায় ৫৫ জন নিহত
- ট্রাম্পবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ওয়াশিংটসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর