1. »
  2. স্বাস্থ্য

পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছিঁড়লেন ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৭:৩৪ পিএম | আপডেট: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৭:৩৪ পিএম

পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছিঁড়লেন ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্য সেন হলে খাবারের বকেয়া টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। 

আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সূর্য সেন হলের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম আরাফাত হোসাইন অভি। তিনি হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ক্যান্টিন মালিকের নাম ফাহিম হোসেন।

জানা যায়, ক্যান্টিনে দুপুরে খাবার খেতে গেলে বকেয়া টাকা চান ক্যান্টিন মালিক ফাহিম। এটা শুনেই ক্ষেপে যান আরাফাত। ক্যান্টিন মালিককে ফাহিম কিল ঘুষি মারেন এবং দাড়ি ছিঁলে ফেলেন। পরে হলের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছিঁড়া দাঁড়ি হাতে নিয়ে হল প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে গেছেন ক্যান্টিন মালিক।

ক্যান্টিন মালিক ফাহিম গনমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে খাবার শেষে আমি আরাফাতকে বললাম ভাই বিলটা দেন। এর আগেরও কিছু বিল আছে। এরপর সে কইতাছে, পরে দিমু তোমারে, লিখা রাখো। পরে আমি কইছি, আচ্ছা লিখা রাখতেছি। এরপর তার সাথে আমার কথা শেষ। এটা ম্যানেজারকে লিখতে বলতেছি যে, ৬টা খানার সাথে এই বিলটা লেখ। পরবর্তীতে উনি আর বাকী খাইবো না। এরপর দুই-তিন মিনিট চইলা গেছে। তখন আইসা বলতাছে, এই ফাহিম এদিকে আয়। পরে গেছি। যাওয়ার পর কইতাছে, কার লগে কীভাবে কি কইতে হয় জানস না? তখন আমি বললাম, আমি কি কইছি ভাই? আমি তো বিলটা চাইলাম খালি। আমি কইছি না, বিল আমি পরে দিমু। এটা বলেই সে আমার দাঁড়িতে ধইরা এক মুঠ দাড়ি ছিড়ে ফেলছে। তখন যা মুখে আসছে তাই বলে গালি দিছে আর আমাকে ও ম্যানেজারকে কিল, ঘুষি, লাথি দেওয়া শুরু করলো। 

এই ব্যাপারে সূর্যসেন হল প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেবেন, অভিযোগপত্র রেডি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত গণমাধ্যমকে বলেন, আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চাইলে আমি বললাম আমার বিকাশে সমস্যা টাকা তুলতে পারছি না। আমি প্রমাণও দেখাইলাম। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেয়। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম আপনি এটা কেমন কথা বললেন, সমস্যা তো থাকতে পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। তিনি আমাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। আমি কোনো মারধর করিনি।

সূর্য সেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। এরপর অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি করে তার ভিত্তিতে একটা ব্যবস্থা নেব।